নিউইয়র্ক, ১২ জুলাই : বাংলাদেশের গর্ব, ট্রায়াথলন তারকা ও দেশের প্রথম সার্টিফায়েড ট্রায়াথলন কোচ মিশু বিশ্বাস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং শিকাগো ম্যারাথন ও আয়রনম্যান ৭০.৩ নিউইয়র্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সীমিত পরিকাঠামো ও প্রশিক্ষণের অভাব সত্ত্বেও তিনি প্রতিভা, অধ্যবসায় এবং বিশ্বমানের মানসিকতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য পরিচিতি।
মিশু বিশ্বাস কেবল একজন ক্রীড়াবিদ নন, বরং বাংলাদেশের ট্রায়াথলন স্পোর্টসের অন্যতম পথপ্রদর্শক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিডি ট্রাই ক্লাব এবং বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক ও সাইক্লিং ক্লাবের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। তার সরাসরি প্রচেষ্টায় দেশে ট্রায়াথলনের একটি সক্রিয় ভিত্তি তৈরি হয়েছে, যা আজকের তরুণ অ্যাথলেটদের জন্য অনুপ্রেরণা।
২০২৩ সালে আয়রনম্যান অল ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেট র্যাঙ্কিংয়ে তিনি জাতীয়ভাবে ২য় স্থান অর্জন করেন। ২০২৪ সালে ইনজুরির কারণে সীমিত অংশগ্রহণ সত্ত্বেও আয়রনম্যান ফিলিপাইনসে অসাধারণ পারফর্ম করে জাতীয়ভাবে ৩য় স্থান অর্জন করেন। এছাড়া আয়রনম্যান ব্রাজিল, আয়রনম্যান মালয়েশিয়া ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে তিনি ২০২৪ সালে আয়রনম্যান কর্তৃক “সিলভার অ্যাওয়ার্ড” পান।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে তিনি দক্ষিণ এশীয় অ্যাথলেটদের মধ্যে ৪র্থ স্থান লাভ করেন। ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ ও ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক প্রদান করে।
বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থানরত মিশু বিশ্বাস আগামী সেপ্টেম্বরে আয়রনম্যান ৭০.৩ নিউইয়র্ক এবং অক্টোবরে শিকাগো ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্লাব মোনা (MAUNA) ট্রাই ক্লাব-এর প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তিনি বলেন, “আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো বিশ্বমানের এন্ড্যুরেন্স প্রতিযোগিতায় পেশাদারভাবে অংশগ্রহণ করা—যেমন আয়রনম্যান, চ্যালেঞ্জ সিরিজ ও টি-১০০ ট্রায়াথলন রেস। পাশাপাশি, একজন নিবেদিত চ্যানেল সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল, জিব্রাল্টার প্রণালি এবং নর্থ চ্যানেলের মতো ওপেন-ওয়াটার রুট সম্পন্ন করার স্বপ্ন দেখি।”
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অ্যাথলেটদের নিয়ে কাজ করতে চান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উদীয়মান প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের জন্য অনলাইন কোচিংয়ের মাধ্যমে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে দেশের ট্রায়াথলন স্পোর্টসকে আরও এগিয়ে নিতে চান। পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, নাভানা, ফরচুনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আমাকে স্পন্সর করে আসছে। আগামীতেও তারা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan